গ্রীণলেডী পেপে চাষে সফলতা পেয়েছেন আলতাফ
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: “গ্রীনলেডী” পেপে চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্যের আশায় দিন গুনছে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় রাজারামপুর গ্রামের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মরহুম তালিম উদ্দিন প্রধানের পুত্র আলতাফ হোসেন প্রধান। তিন বছরের ফসলে প্রথম বছরই ১ লক্ষ টাকা খরচ মিটিয়ে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছেন। পেপে চাষ করার পূর্ব ইতিহাস কৃষক আলতাব হোসেনের পুত্র পীরগঞ্জ শাহ্ আব্দুর রউফ কলেজের প্রভাষক সোহেল রানা গত ২০২০ সালে পেপে ক্রয় করার জন্য বাজারে গিয়ে ৪০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে মানসিকভাবে পেপে চাষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউটিউবে ভিডিও দেখে ভালো জাতের চারা খোজার সন্ধানে নামলে মিঠাপুকুর উপজেলার নাসিফ নার্সারী থেকে ৩৩০ টি চারা ক্রয় করে কৃষি বিভাগের সহায়তা ছাড়াই নার্সারী মালিকের পরামর্শে ৩০ শতক জমিতে জৈব সার ছয় মন, প্রয়োজনীয় টিএসপি, পটাশ, ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ওই বছরেই নভেম্বর মাসে আলু রোপন করে ৫ফিট দুরত্ব বজায় রেখে এবং এক সারি থেকে অন্য সারির দুরত্ব ৭ ফিট বজায় রেখে ৩৩০ টি পেপে চারা রোপন করা হয়। এছাড়াও জমির চারপাশে মিশ্র ফসল হিসেবে মরিচ ঢেরশ, চিচিঙ্গা,ওল রোপন করে পরিচর্যা করতে শুরু করে। এরই মধ্যে পেপে গাছে আশাতীত ফুল দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের খেজমতপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামছুজ্জামানের পরামর্শক্রমে মাসে দুইদিন করে ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করেন। বর্তমানে পেপের ওজনে গাছ ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করছেন কৃষক। তিন বছরের ফসলে প্রথম বছরই সব খরচ মিটিয়ে ৫০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেছেন পেপে চাষী আলতাফ। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন “পেপে চাষী আমার নিকট পরামর্শ নেয়ার জন্য এসেছিল, আমার ব্যস্ততার কারনে সংশ্লিষ্ট উপসহকরী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেয়ার কথা বলেছি *।